Posts

মলয় রায়চৌধুরীকে উত্তরপাড়ার ঠিকানায় লেখা ফাদার পিয়ের ফালোঁর চিঠি

Image
প্রিয়বরেষু আপনার ‘হাংরি জেনারেশনের কাব্যদর্শন’ ও ‘আমার অমীমাংসিত শুভা’ গত বৃহস্পতিবার পেয়েছি। অবশ্য আপনি এপ্রিল মাসেই বই দুটি পাঠিয়েছেন কিন্তু আমি আর যাদবপুরে পড়াই না বলে বইগুলি সেখান থেকে ঘুরে-ঘুরে দেরিতে আমার এই নতুন ঠিকানায় পৌঁছে এল । বইয়ের জন্য আমি কৃতজ্ঞ । আপনার সঙ্গে বহুদিন আলাপ করার ইচ্ছা আমার ছিল ; হয়তো পত্রালাপে সেই ইচ্ছা পুরোভাবে মিটবে না -- সাক্ষাৎভাবে আলাপ পরিচয় হলে আরও খুশি ্তাম । যদি কোনোদিন কলকাতায় আসেন আর একটু অবসর যদি আপনার থাকে তবে কিছুক্ষণের জন্য আমার বাসায় আসুন গল্প হবে, অনেক প্রশ্ন করব, শুনতে চাই বহুরকম কথা । . আপনার শুভাগ্রাফ পড়েছি ; একবার নয়, কয়েকবার । কবি আমি কোনোকালে ছিলাম না, তাছাড়া আমি বিদেশি । তাই কাব্যের বিচার করার সাহস বা অধিকার আমার নেই । তা সত্ত্বেও আপনার কবিতা পড়েছি । পড়তে পড়তে অনেক ভেবেছি, এখনও ভাবছি। . কী যে ভেবেছি তা সহজে বলতে পারব না । একটু-আধটু বলতে যদি চেষ্টা করি, তাহলে কিছু মনে করবেন না । . আপনি একটা হতাশা আর বিতৃষ্ণার মুখোশ পরেই লেখেন ; তবু আমার বিশ্বাস, আপনার এই মুখোশ-পরা কৃত্রিমতা নয় ; আমরা সবাই কোনো একটা মুখোশ পরি, আদর্শ

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে লেখা মলয় রায়চৌধুরীর ১৬.৬.১৯৬৩ তারিখের পোস্টকার্ড

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে লেখা মলয় রায়চৌধুরীর ১৬.৬.১৯৬৩ তারিখের পোস্টকার্ড কী ঠিক করলেন সুনীলদা ? হাংরি জেনারেশনের de jure নেতৃত্বটা গ্রহণ করবেন, নাকি de facto নেতাকেই নেতা ভেবে রাগ করে থাকবেন ? মলয়

আমি যে লুচ্চরিত্র

Image
আমি যে লুচ্চরিত্র উৎসর্গ : অনীক রুদ্র দেশের এখন এই অবস্হা, শয়ে-শয়ে মারা যাচ্ছে লোক আর আমি কিনা ঠ্যাঙের ওপর ঠ্যাংটি তুলে খাচ্ছি বসে মুড়ি-পেঁয়াজ-কাঁচা লঙ্কা টাকনা দিয়ে সিঙ্গলমল্ট মদ কেননা আমি লুজচরিত্র, পড়ি ভেরলেন এবং বোদলেয়ার জানলা খুলে টাকলামাথা তালগাছকে বলি চুদির ভাই মাতাল হয়ে টনক তো আর নেই, বলি বাঞ্চোৎদল জানতিস না মদের জন্যে বউ-ঝিরাও গিয়ে লাইন দেবে এই যে কাঁচা লঙ্কা খাচ্ছি এটা তোদের গোয়ায় দিতে চাই কারণ আমি লুজচরিত্র, খিচুড়ি খেয়ে কাটাচ্ছি দুইবেলা আটকে যাচ্ছে বলে রাতের বেলা হাগার ওষুধ খাই তোদের তো মুখেতেই পায়খানা ফলে কোনো চিন্তা নাই আমি যে লুচ্চরিত্র, এককালে যারা আমায় বলতো মরবিড তারা এখন কোমরবিডিটির বিছানাটা রেখে দিচ্ছে পেতে দেশের এখন এই অবস্হা, মাও জে দঙের পোলাটাই তো দায়ি এখনও মরবে লোকে শয়ে-শয়ে, আমার নামও যোগ হবে তাতে কেননা আমি লুজচরিত্র, বুকনি ছাড়া কিছুই দেবার নাই

মলয় রায়চৌধুরীর আভাঁ গার্দ কবিতা

মৃত্যু - একটি আভাঁ গার্দ কবিতা মৃত্যু কি ক্রিয়া ? মৃত্যু কি ক্রিয়াপদ ? মৃত্যু কি বর্তমানকাল ? মৃত্যু কি অতীতকাল ? মৃত্যু কি বিশেষণ ? মৃত্যু কি বিশেষ্য ? মৃত্যুর সংজ্ঞা আছে ? মৃত্যুর মুহূর্তই কি মৃত্যু ? মস্তিষ্কের মৃত্যুই কি মৃত্যু ? হৃৎপিণ্ডের মৃত্যুই কি মৃত্যু ? উত্তর রয়েছে প্রতিটি মৃতের কাছে !

Completed Sixty Years of Hungryalist Movement

Image

কমরেড পু-এর আত্মহত্যা - একটি পোস্টমডার্ন কবিতা

উৎসর্গ : মারুফুল আলম কমরেড পু, ম-১ এর খুড়তুতো বোন, গলায় দড়ি বেঁধে, ঝুলে পড়ল ।          পুলিশের ডাক্তার ট-১ জানিয়েছিল, যুবতীটি মারা গেছেন রাত ১টা ৪০শে, তাহলে পু ওর আত্মহত্যার কবিতায়, তারিখের তলায়          কেন সময় লিখেছে রাত ৩টে ৩০ ? কবিতাটা থানা থেকে পাওয়া যায়নি, ইন্সপেক্টর জ-৩ বললেন,          সনেটে লেখা আত্মহত্যার চিরকুট ফেরত দেয়া নিষেধ । এফ আই আর-এ লেখা ছিল, "চাঁদ ওঠে নাই, বাতাস বহিয়াছিল, শৃগালিনী          পুংশৃগালকে ডাকিতেছিল, ইহা শরৎকাল, ৩০০ বছরের পুরানো ইঁট,          বরগার চিড়ের কারণে চড়াইপাখির ডিম পড়িয়া ফাটিয়া গিয়াছে,          পুংচড়াই নালিশ করিতেছিল, নথিবদ্ধ করা হইয়াছে ।" কমরেড পু, যে ম-১ এর কাকা ন-২ এর মেয়ে, কেন আত্মহত্যা করল          তা কবিতায় লেখেনি । পু সোভিয়েত রাষ্ট্রে যেতে চায়নি ।          পু মনে করতো, রুবলহারামিরা নবযুগ আনতে পারবে না,          নিজের, ছেলেমেয়ের, জ্ঞাতিগুষ্টির নবযুগ আনবে বটে,          বাড়ি, গাড়ি, নার্সিং হোম, প্রায়ভেট স্কুল খুলে ফেলবে ।          ম-১কে লিখে বলেছে, "ছোড়দা, ছন্দে ভুল থাকলে শুধরে দিও।" ম-১ ত

চীনা মেয়ে : মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা

Image
"চীনা মেয়ে" বাদুড়খাকি চীনা মেয়ের ঠোঁটেতে তুই চুমু খাবি ? ওই মেয়ে তো কুকুর বেড়াল ঢোঁড়া সাপের মাংসখাকি ! প্যাঙ্গোলিনের আঁশের গুঁড়োয় চাগিয়ে তোলে অরগ্যাজম ! জেনেশুনে তার ঠোঁটে তুই চুমু খাবি ? খাবো খাবো খাবো । বুকের হলুদ-লালচে বোঁটায় টুসকি দেবো । . ওর দাদু যে মাও-জে দঙের লম্বা লাফে শামিল ছিল । মাওয়ের মতন ওর দাদুরও গোটাকতক রাখেল ছিল । বাবা তো ওর সাম্যবাদী দলের নেতা, অঢেল পুঁজি । খাবো খাবো খাবো । স্বাদু ঠোঁটে কামড় দিয়ে চিপকে যাবো । অরগ্যাজমের জোয়ার-রসে যা-হবার-তা-হোকগে বলে চুসকি দেবো ।